শীতের মৌসুমে যে খাবার খাওয়া উচিত।


স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৩, ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন /
শীতের মৌসুমে যে খাবার খাওয়া উচিত।

শীত আসলেই অনেকেই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগে থাকেন। এছাড়া শীতে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ সময় বাতাসে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ও বেড়ে যায়। তাই এ মৌসুমে অসুস্থ হওয়ার হার বেশি থাকে।
তাই এ মৌসুমে এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত যেগুলো সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। চলুন জেনে নেই এমন কিছু খাবারের নাম
১. ভিটামিন সি-যুক্ত ফল
ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকা এবং অ্যান্টিবডি তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন এবং এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কমলালেবু, জাম্বুরা, লেবুর মত ফলে ভিটামিন সি বেশি থাকে। এসব ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।
২. বেরি জাতীয় ফল
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, রাস্পবেরির মত ফল ভিটামিন সি এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। এছাড়া এসব ফলে থাকা ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ হার্টের স্বাস্থ্য এবং জ্ঞানীয় ফাংশন বজায় রাখে।
৩. রসুন
সর্দি-কাশি প্রতিরোধে রসুন ভীষণ কার্যকরি জিনিস। এতে অ্যালিসিন নামক উপাদান রয়েছে, যা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। রসুন প্রদাহ বিরোধী, রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৪. হলুদ
হলুদ খুবই উপকারি ও সর্বগুণে গুণান্বিত একটি উপাদান। শরীরের সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে জটিল অনেক সমস্যার সমাধান ও করে হলুদ। হলুদে থাকা কারকিউমিনে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক কার্যকরি ভূমিকা রাখে। এছাড়া হলুদ প্রদাহ বিরোধী এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
৫. দই (প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ)
দই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং একটি সুস্থ অন্ত্রের পাশাপাশি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বজায় রাখে। দই ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং হজমশক্তি বৃদ্ধির জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া সরবরাহ করে।
৬. বাদাম
বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরকে সুস্থ রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিন হার্টের সু-স্বাস্থ্য বজায় রাখে।