আতশবাজি ফাটানো ও ফানুস না ওড়ানোর আহ্বান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।


স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩, ৩:৫৩ অপরাহ্ন /
আতশবাজি ফাটানো ও ফানুস না ওড়ানোর আহ্বান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।

ইংরেজি বর্ষবরণের আয়োজনে আতশবাজি ফাটানো ও ফানুস না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফায়ার সার্ভিস এই আহ্বান জানিয়েছে। 

২০২২ সালের থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস থেকে যে প্রায় একশ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে ফায়ার সার্ভিস জানায়, সেসব অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ১৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষতি গুনতে হয়েছিল নতুন বছরের শুরুতে।

বিজ্ঞপ্তিতে ফায়ার সার্ভিস আরও জানায়, থার্টি ফার্স্টের রাতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রতি বছরই নগরজুড়ে পটকা ফোটানো ও আতশবাজি পোড়ানো হয়। বিভিন্ন স্থানে ফানুস ওড়ানোর সময় আগুন লাগার খবর আসে। গতবার ফানুসের আগুনে নতুন চালু হওয়া মেট্রোরেলের তারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাতে সকাল বেলায় ট্রেন চালু হতে দুই ঘণ্টা বিলম্ব হয়।  

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২১ সালের প্রথম প্রহরে আতশবাজি ও ফানুস থেকে ১৬টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪ লাখ ৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছিল। আতশবাজির উচ্চ শব্দে তানজিম উমায়ের মাহমুদুল হাসান নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, ২০২০ সালে একই রকম ৫০টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ২০১৯ সালে ৭২টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা এবং ২০১৮ সালে ৪২টি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫৬ লাখ ৬ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।

এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ফায়ার সার্ভিসের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে লিফলেট ও ভিডিও ক্লিপস শেয়ার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঢাকার ফায়ার স্টেশনগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে, যাতে এ ধরনের যে কোনো ঘটনায় দ্রুত সাড়া দেওয়া যায়।

থার্টি ফার্স্ট নাইট সামনে রেখে ঢাকায় সব ধরনের আতশবাজি, মশাল মিছিল, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো আগেই নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গত ১৯ ডিসেম্বর ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেদিন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখতে হবে।