মেঘবালকের কাব্য – মিতা আফরোজ।


স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩, ৫:২১ অপরাহ্ন /
মেঘবালকের কাব্য – মিতা আফরোজ।

মেঘবালকের কাব্য

কবি- মিতা আফরোজ

তুমি  কি সেই মেঘবালক? 

মেঘের মতো পেঁজা নরম তুলো হয়ে 

উড়ে উড়ে বসলে এসে বুকে।

মেঘবালিকা দেখতে পেল হরেক রঙের  স্বপ্ন বোনা 

মেঘবালকের চোখে।

চঞ্চল  দুটি চোখের ভাষা মেঘবালিকা  ঠিক নিয়েছে বুঝে। 

চোখের মাঝে প্রেম ছিল ভালবাসার আকুতি ছিল, মিনতি ছিল। 

যৌবনকে নয় প্রৌঢ়ত্বে পাশে থাকার অধিকার  চেয়েছিল। 

এ কেমন চাওয়া? 

এই চাওয়াকে অবহেলায় ফেরাতে পারে এমন সাধ্য কার? 

তবু আর একবার করছে মনে ভয়।   

মেঘবালকও যদি,

সবার মতো ছেড়ে চলে যায়?

হাত দুটি তার জড়িয়ে ধরে, 

চোখের জলে বলল মেয়ে,

সত্যিই ভালবাস আমায় ?

হাঁটু গেঁড়ে পায়ের কাছে বিনয় করে বললো  বালক,

‘আমি তোমার সত্যিকারের তুই হতে চাই”।

আর কিছুই তো চাইনা আমি,

কালপুরুষ হবো তোমার

বাকীটা জীবন  ভিক্ষা যদি দাও।

যখন তুমি বৃদ্ধা হবে চুলগুলোতে পাক ধরবে, 

তখন তোমায় শিশুর মতো আগলে রাখতে চাই–

তখন তোমায় সেবা করার অধিকার টুকু চাই—

বাড়লে বয়স, তখন তুমি সবার কাছে বৃদ্ধ হলেও আমার কাছে শিশু। গাল ফোলানো বায়না গুলো 

আমি রাখতে চাই —

তখন   যদি  দিন কে বল রাত 

আমি  তখন হেসে বলবো 

সারা ঘরে খেলছে দেখো পূর্নিমা চাঁদ। 

তুমি যখন সবার কাছে হবে মূল্যহীন 

আমি তখন আদর করে রাখব বুকে 

আমার কাছে তুমি তখন সাত রাজার ধন।

যখন সবাই বলবে, তোমার বয়স হল ঢের 

এখন বোঝো কি?

আমি তখন বলবো তোমায়, পাগলি তোমার  বোঝাই সঠিক। 

আমি তোমার যৌবনের রুপ কে নয় —

বৃদ্ধ কালের কুচকে যাওয়া ত্বক আর 

সাদা চুলের দিনগুলোতে সঙ্গী হতে চাই——

সকাল বেলা কফি হাতে আলতো করে চুমু দিয়ে ঘুম ভাঙাতে চাই –

তোমায় যখন সময় দেবেনা কেউ –

আমরা তখন গুনব বসে, নীল সাগরের ঢেউ।