৮০ জনেরও বেশি অভিনেতা-অভিনেত্রী নিয়ে ‘অপারেশন জ্যাকপট’


স্টাফ রিপোর্টার প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩, ৪:১৮ পূর্বাহ্ন /
৮০ জনেরও বেশি অভিনেতা-অভিনেত্রী নিয়ে ‘অপারেশন জ্যাকপট’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হতে যাওয়া সিনেমা ‘অপারেশন জ্যাকপট’। মুক্তিযুদ্ধের সময় অপারেশন জ্যাকপট নামের এক অভিযানে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জে একযোগে গেরিলা অপারেশন চালানো হয়েছিল। সেই অভিযানে পাকিস্তান ও অন্য আরও কয়েকটি দেশ থেকে অস্ত্র, খাদ্য ও তেল নিয়ে আসা ২৬টি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধারা। সেই ঘটনা নিয়ে বিশাল বাজেটে নির্মিত হতে যাচ্ছে সিনেমা ‘অপারেশন জ্যাকপট’, যেটির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

২১ কোটি টাকা বাজেটের এই সিনেমাটি পরিচালনার দায়িত্ব পেলেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ও কলকাতার রাজীব বিশ্বাস। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমনটা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ছবির প্রযোজক স্বপন চৌধুরী, দুই পরিচালকসহ আরও অনেকে।

এসময় দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, একটি বিষয়ে যদি রবীন্দ্রনাথ ও কাজী নজরুল দুজনেই কবিতা লেখেন, সেটা কিন্তু দুই রকম হবে। তেমনি রাজীব বাবু একজন পরিচালক, আমিও পরিচালক; আমি একা তৈরি করলে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ যেরকম হবে, দুজন মিলে করলে আরও ভালো হবে।

কলকাতার রাজীব বিশ্বাস বলেন, এত বড় একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য এবং তাতে আমাকে যুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই। সবাই আমাদের আশীর্বাদ ও সহযোগিতা করবেন।

সিনেমাটির প্রযোজক স্বপন চৌধুরী জানান, ছবিতে ৮০ জনেরও বেশি অভিনেতা-অভিনেত্রী কাজ করবেন। যারা দর্শকের কাছে পরিচিত। এর মধ্যে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে অনন্ত জলিল, রোশান, ইমন, নিরব, শিপন মিত্র, সাঞ্জু জন, জয় চৌধুরী ও আমান রেজাকে। এছাড়াও থাকছেন মিশা সওদাগর, আহমেদ শরীফ, ইলিয়াস কাঞ্চন, ডন, ড্যানি সিডাকসহ অনেকে।

আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিএফডিসি থেকেই শুরু হচ্ছে ছবিটির শুটিং। এই লটের চিত্রায়ন চলবে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর দ্বিতীয় লটের শুটিং হবে ফেব্রুয়ারিতে।

কয়েক বছর আগে অপারেশন জ্যাকপটের ঘটনা নিয়ে সিনেমা বানানোর উদ্যোগ নেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। তখন ছবির চিত্রনাট্য তৈরির দায়িত্ব পান গিয়াস উদ্দিন সেলিম। সে সময় ছবিটির বাজেট ধরা হয় ২৩ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। তবে পরে প্রকল্পটি তদারকির দায়িত্ব পায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তারা দরপত্র আহ্বান করে। কিন্তু সেখানে আহ্বান করেও বাতিল হয়ে যায় নির্মাতা সেলিমের প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে অনেক বিতর্কও হয়েছিল সেই সময়।